দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক সহাবস্থান রক্ষায় ছয়টি আহ্বান জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ কর্তৃক ‘বিদেশি মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা ও বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিদেশি প্রভাব, তথ্যযুদ্ধ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখে দেশের ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ৬ টি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের উত্থাপিত আহ্বানগুলো হলো :
১. ইউপিডিএফসহ সব বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করে তাদের বিদেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের উৎসের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।
২. সীমান্তপথে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি, সীমান্ত সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়াতে হবে।
৩. বিদেশি প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ প্রতিহত করতে রাষ্ট্রকে আরও সক্ষম হতে হবে।
৪. ঔপনিবেশিক “আদিবাসী–সেটলার” বয়ান ভেঙে সঠিক ইতিহাসভিত্তিক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
৫. গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন নিজ দেশে নাগরিক, বিশেষ করে ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী নাগরিকদের হয়রানি ও টার্গেট করা অবিলম্বে বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা, বাহ্যিক হুমকি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা মোকাবিলায় মনোযোগী হয়।
৬. বাঙালি–পাহাড়ি জনগণের পারস্পরিক আস্থা, নিরাপত্তা ও সহাবস্থান জোরদারে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বানগুলো জানান কী-নোট স্পিকার ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমেদ রফিক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব’উল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র এবং দেশের অখণ্ডতার ওপর সরাসরি আঘাত। ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগীরা নারীর ইস্যুকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান পাহাড়ী এলাকাগুলোর জন্য বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।
সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদ্রিসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ড. মেহেদী হাসান, মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।