উত্তরার কথিত সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান আকাশের চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও অপকর্মে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। নিজেকে ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এইদিকে নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে টার্গেট করে পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার সর্বাত্মক চক্রান্ত লক্ষ করা যাচ্ছে। জনগণের কাছে সেনাবাহিনী সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক নষ্টের ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি তিনি ও তার সহযোগীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে আসাদুজ্জামান আকাশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মিথ্যা প্রচারণা এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির একাধিক প্রমাণ মেলে। তদন্ত শেষে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় ব্যবহার করে আকাশ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা দাবি করতেন। অনেকে ভয়ভীতির কারণে বাধ্য হয়ে তার দাবিকৃত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলাম। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।”
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, “আসাদুজ্জামান আকাশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
উত্তরার সাধারণ মানুষ এ ঘটনাকে স্বস্তিদায়ক ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা সেনাবাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে এলাকায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।